আপনি মার্কেটের সবচেয়ে ভালো ফ্ল্যাটটি কিভাবে পেতে পারেন এটা নির্ভর করছে আপনার বাজেট ও পছন্দের লোকেশনের উপর মার্কেট রিচার্জ,ফ্ল্যাটের সঠিক ডাটাবেজ কালেকশন ,প্রজেক্ট এনালাইসেস এবং সর্বোপরি সঠিক সময়ে সিদ্ধান্তের নেওয়ার উপর। আর এই বিষয়গুলো একজন ভাল কনসালটেন্ট এর সহযোগিতার মাধ্যমে পেতে পারেন । আপনার বাজেট ও পছন্দের লোকেশন এর উপর ভিত্তি করে কনসালটেন্ট উপযুক্ত ডাটা কালেকশন করবেন ।
এই ডাটাবেজে ফ্ল্যাটের লোকেশন, সাইজ ,পার স্কয়ার ফিট আসকিং প্রাইস, হ্যান্ড ওভার ডেট, কন্ট্যাক্ট পার্সন ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষিত হবে ।তার পর প্রতিটি ফ্ল্যাট কনসালটেন্ট এর সাথে সরাসরি ভিজিট করে সামগ্রিক বিষয় বিবেচনায স্কোরিং করতে হবে।এই স্কোরিং এর উপর ভিত্তি করে শর্ট লিস্ট করতে হবে। শর্ট লিস্টটি দুই বা তিনটি ফ্ল্যাট এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে ।
সর্বশেষ যে ফ্ল্যাটটি কেনার জন্য সিদ্ধান্ত নিবেন তার প্রয়োজনীয় লিগ্যাল ডকুমেন্ট একটি কনসালটেন্সি ফার্ম এর মাধ্যমে যাচাই বাছাই করতে হবে। এ সময় অবশ্যই আপনি যে কোম্পানি থেকে ফ্ল্যাট কিনতে যাচ্ছেন তাদের সাম্প্রতিক কালের হ্যান্ডওভার প্রজেক্ট ভিজিট করতে হবে । তাদের হ্যান্ডওভার প্রজেক্ট আউটলুক লিফট জেনারেটর পাম্প সাব স্টেশন ইত্যাদি ভালোভাবে কনসালটেন্ট এর মাধ্যমে অবজারভেশন করে নিবেন। যদি এসব বিষয় ভালো মনে হয় এবং ফ্ল্যাটের সকল ডকুমেন্ট সঠিক থাকে তবে আপনি এগ্রিমেন্টে যেতে পারেন।
একটি বিল্ডিং এর নির্মাণের বিভিন্ন ধাপ অনুযায়ী কয়েকটি পর্যায় ভাগ করা যায়
১। প্রি- কনস্ট্রাকশন স্টেজ
২। সাব-স্ট্রাকচারাল স্টেজ
৩। সুপার স্ট্রাকচারাল স্টেজ
৪। ফিনিশিং স্টেজ
৫।পোস্ট হ্যান্ড ওভার স্টেজ

উপরোক্ত যে কোনো স্টেজে আপনি ফ্লাট ক্রয় করতে পারবেন তবে স্টেজে ফ্লাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও উহার ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী কোন ডেভলপার কোম্পানী কোন প্রজেক্ট এর প্লেনে অনুমোদন হওয়ার পূর্বে কোন ক্রেতার সাথে বিক্রয় বা বিক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হইতে পারবে না । কাজেই আপনাকে ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রথমে দেখে নিতে হবে উক্ত প্রোজেক্টের রাজউক থেকে অনুমোদিত হয়েছে কিনা ।
যদি আপনার ফ্ল্যাট কেনার বাজেটের সম্পূর্ণ টাকা আপনার হাতে থাকে তবে ডেভেলপার কোম্পানি থেকে কিছু সুবিধা নিতে পারবেন ।এক্ষেত্রে অবশ্যই যে প্রজেক্ট ৭০ বা ৮০ % নির্মান সম্পন্ন হয়েছে এমন প্রজেক্ট কিনার জন্য সিলেকশন করবেন। কোন বিল্ডিং এর ৮০% কাজ সম্পন্ন হলে এটাকে ফিনিশিং স্টেজে বলা যায় এই সময় ফ্ল্যাট কেনার কিছু সুবিধা আছে আপনি যদি ভিতরে কোন কিছু কাস্টমাইজ করতে চান এবং ডেভেলপার কোম্পানিতে যে সকল টাইলস ,মার্বেল, সি পি ফিটিং দিবে তার চেয়ে উন্নত মানের প্রতিস্থাপন করতে চাইলে তা কোম্পানির সাথে আলোচনা করে নিতে পারবেন । তবে বাজারে সাপ্লাই এর তুলনায় ডিমান্ড বেশি হলে ফিনিশিং স্টেজে ভালো কোম্পানির ফ্ল্যাট খুব একটা পাওয়া যায় না।
ফ্ল্যাট কিনার জন্য ভালো সময় হচ্ছে মার্চ থেকে জুন এই সময় গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে জুলাই মাস থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হয় এবং বাজেটে উপর ভিত্তি করে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পায় ।বাজেটে দু’একটা নির্মাণ সামগ্রীর দাম কমলেও বেশিরভাগ থাকে ঊর্ধ্বমুখী যে কারণে জুলাই মাস থেকে ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে । ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে মার্চ থেকে জুন এই সময়টা গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার আরো একটি কারণ হচ্ছে এই সময়টা হচ্ছে আমাদের দেশের বর্ষাকাল ।
আর ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বর্ষাকালে আপনার ফ্ল্যাটের এলাকা পরিবেশ কেমন দেখায় তা ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন

Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *